শ্রী জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা
১১ আষার, ৩০ ত্রিবিক্রম, ২৬ জুন, শনিবার
শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা
দুধ ও গঙ্গাজলের মিশ্রণে স্নান করানো হবে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার বিগ্রহকে।
প্রতিবছর অক্ষয় তৃতীয়ার দিন নাকি মাথার যন্ত্রণায় কাহিল হয়ে পড়েন জগন্নাথদেব, তখন তাঁর মাথায় লাগানো হয় চন্দনের প্রলেপ।
সেই প্রলেপ তুলতেই রথযাত্রার ১৫দিন আগে স্নান করানো হয় তাঁকে।
লোকবিশ্বাস আরও বলে, স্নান করার পর নাকি জ্বর আসে প্রভু জগন্নাথের. তাই পরের পনেরোদিন কাউকে মূর্তি দর্শন করতে দেওয়া হয়না।
♥♥♥♥♥♥♥♥♥
প্রতিবছর অক্ষয় তৃতীয়ার দিন নাকি মাথার যন্ত্রণায় কাহিল হয়ে পড়েন জগন্নাথদেব, তখন তাঁর মাথায় লাগানো হয় চন্দনের প্রলেপ।
সেই প্রলেপ তুলতেই রথযাত্রার ১৫দিন আগে স্নান করানো হয় তাঁকে।
লোকবিশ্বাস আরও বলে, স্নান করার পর নাকি জ্বর আসে প্রভু জগন্নাথের. তাই পরের পনেরোদিন কাউকে মূর্তি দর্শন করতে দেওয়া হয়না।
♥♥♥♥♥♥♥♥♥
সব জগতের পরমপ্রভু হচ্ছেন শ্রী জগন্নাথদেব। ভক্তদের প্রেমের বশবর্তী হয়ে তিনি নিজেকে রাজপথে নিয়ে যাওয়ার জন্য ভক্তদের অনুমতি দিয়েছেন।
শ্রী জগন্নাথদেব অত্যন্ত কৃপাশীল।
শ্রী জগন্নাথদেব অত্যন্ত কৃপাশীল।
যারা মন্দিরে তাকে দর্শন করতে আসেনা, তাদের সবাইকে কল্যাণ ঐক্য কৃপা আশীর্বাদ করতে তিনি মন্দির থেকে বেরিয়ে আসেন।
একবার শ্রীকৃষ্ণ, বলরাম ও সুভদ্রাদেবী সূর্যগ্রহণের কুরুক্ষেত্রে সামন্ত পঞ্চতক তীর্থে স্নান করতে যান।
একবার শ্রীকৃষ্ণ, বলরাম ও সুভদ্রাদেবী সূর্যগ্রহণের কুরুক্ষেত্রে সামন্ত পঞ্চতক তীর্থে স্নান করতে যান।
এখনও কুরুক্ষেত্রে সূর্যগ্রহণের সময় স্নান করতে বহু পুণ্যার্থী গমন করেন। পাঁচ হাজার বছর আগে শ্রীকৃষ্ণ দ্বারকা থেকে গিয়েছিলেন কুরুক্ষেত্রে।
শুনে সঙ্গেসঙ্গে তারা ছুটলেন কৃষ্ণকে দর্শন করতে।
কৃষ্ণ তখন রথে উঠে বলেছেন, তিনি কুরুক্ষেত্র থেকে তার রাজধানী দ্বারকায় ফিরে যাবেন।
শুনে সঙ্গেসঙ্গে তারা ছুটলেন কৃষ্ণকে দর্শন করতে।
কৃষ্ণ তখন রথে উঠে বলেছেন, তিনি কুরুক্ষেত্র থেকে তার রাজধানী দ্বারকায় ফিরে যাবেন।
সঙ্গে রয়েছেন শ্রী বলরাম ও সুভদ্রা। চারপাশে রাজপুরুষ, সৈনিক, কৃষ্ণের বেশও অন্যরকম। গোপবেশের পরিবর্তে রাজবেশ। হাতে বাঁশির পরিবর্তে ধনুর্বাণ।
কোমরে তলোয়ার/বর্ম, মাথায় মুকুট। কৃষ্ণকে এভাবে দেখে গোপাদের মন ভরল না।
কোমরে তলোয়ার/বর্ম, মাথায় মুকুট। কৃষ্ণকে এভাবে দেখে গোপাদের মন ভরল না।
বিশেষ করে রাধারাণী বললেন, এই কৃষ্ণ আমাদের সেই কৃষ্ণ নয়। তাকে আমরা চিনতাম, বৃন্দাবনের বনে বনে আমাদের সঙ্গে সে লীলা খেলা করত।
সেই কৃষ্ণের মাথায় ময়ূরের পাখা, তার পরণে পীত বসন, গলায় বনমালা, হাতে বাঁশি আর এই কৃষ্ণের পরণে তো রাজবেশ।
রাধারাণীর সেই মনোভাব বুঝতে পেরে বাজবাসীরা কৃষ্ণের রথের দড়ি ধরে। কৃষ্ণের রথের ঘোড়াগুলো ধরে টানতে টানতে নিয়ে চললেন বৃন্দাবনের দিকে।
রাধারাণীর সেই মনোভাব বুঝতে পেরে বাজবাসীরা কৃষ্ণের রথের দড়ি ধরে। কৃষ্ণের রথের ঘোড়াগুলো ধরে টানতে টানতে নিয়ে চললেন বৃন্দাবনের দিকে।
সঙ্গে সঙ্গে বলরাম, তিনিও ব্রজবাসীদের শৈশবের, কৈশোরের সাথী। তাকেও রথে চড়ালেন। সুভদ্রা বোন, তাকেও তারা নিয়ে চললেন। জগন্নাথপুরীর এই রথযাত্রাটি হচ্ছে গোপাদের সেই কুরুক্ষেত্র রথযাত্রার দ্যোতিক।
রথের সময় জগন্নাথ বা কৃষ্ণকে নিয়ে যাওয়া হয় নীলাচল থেকে সুন্দরাচলে। যেখানে কৃষ্ণ ব্রজবাসীদের সঙ্গে আট দিন ছিলেন। এই হচ্ছে রথযাত্রার ইতিহাস।
শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু ভাবতেন—
‘কৃষ্ণ, কতদিন ধরে আমি তোমায় দেখতে চেয়েছি।
আর এখন আমি তোমাকে দর্শন করছি।’
‘কৃষ্ণ, কতদিন ধরে আমি তোমায় দেখতে চেয়েছি।
আর এখন আমি তোমাকে দর্শন করছি।’
শ্রী প্রভুপাদ বলেছিলেন,
‘বাঁ পাশে একদল,
ডানপাশে একদল,
সামনে একদল এবং
পেছনের দিকে একদল,
আর শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু মাঝখানে থাকতেন।
তারা সবাই নাচতেন এবং কীর্তন করতেন।
রথযাত্রার সময় ভগবান শ্রীজগন্নাথদের স্বয়ং আমাদের সামনে উপস্থিত হন।
তাই এটি এমনই সুন্দর সুযোগময় একটি উত্সব, যার মাধ্যমে আমরা ভগবানের প্রতি আমাদের হৃদয়ের ভক্তি ও প্রেম নিবেদন করতে পারি।
‘বাঁ পাশে একদল,
ডানপাশে একদল,
সামনে একদল এবং
পেছনের দিকে একদল,
আর শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু মাঝখানে থাকতেন।
তারা সবাই নাচতেন এবং কীর্তন করতেন।
রথযাত্রার সময় ভগবান শ্রীজগন্নাথদের স্বয়ং আমাদের সামনে উপস্থিত হন।
তাই এটি এমনই সুন্দর সুযোগময় একটি উত্সব, যার মাধ্যমে আমরা ভগবানের প্রতি আমাদের হৃদয়ের ভক্তি ও প্রেম নিবেদন করতে পারি।
রথযাত্রার দিন রথরূঢ় পরমেশ্বর ভগবান শ্রী শ্রী জগন্নাথদেব বলদেব ও সুভদ্রাদেবীকে দর্শন করে আপনার হৃদয়ের ভক্তি নিবেদন করুন, রথের রশি ধরে টানুন।
ভগবানের প্রসাদ গ্রহণ করুন এবং আপনার মানব জন্মকে সার্থক করে তুলুন।
ভগবানের প্রসাদ গ্রহণ করুন এবং আপনার মানব জন্মকে সার্থক করে তুলুন।
জগন্নাথদেবের রথযাত্রা সনাতন ধর্মাবলম্বী হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম বড় ধর্মীয় উত্সব।
রথের চাকার পবিত্র ঘূর্ণনে মুছে যাক সব অন্ধকার।
দূর হয়ে যাক অন্যায়-অশান্তি।
মহালা লোকে পূর্ণ হোক ধরিত্রী। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে গড়ে উঠুক অসাম্প্রদায়িকতার বাতাবরণ।
দূর হয়ে যাক অন্যায়-অশান্তি।
মহালা লোকে পূর্ণ হোক ধরিত্রী। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে গড়ে উঠুক অসাম্প্রদায়িকতার বাতাবরণ।
শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও ধর্মীয় ভক্তিবিশ্বাস আমাদের ঐতিহ্যের সম্প্রীতিকে আরও সমুন্নত করে তুলুক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন