জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা ………..সুব্রতা রায় ত্রিবেদী

রথযাত্রা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের একটি অন্যতম জনপ্রিয় উৎসব। বৈদিক সমাজে প্রথমে এ জাতীয় কোন উৎসবের প্রচলন ছিল না। স্নানযাত্রা, দোলযাত্রা, রথযাত্রা প্রভৃতি উৎসবের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিল সমাজের অভিজাত শ্রেণীর ব্রাহ্মণ ও বৌদ্ধরা। সম্রাট অশোক এসবের বিরুদ্ধে অনুশাসনও জারি করেছিলেন। কিন্তু কোন অনুশাসনই লৌকিক ধর্মের এ প্রবাহকে প্রতিহত করতে পারেনি।
গ্রিক, মিসরীয় ও ভারতীয় সভ্যতায় সপ্তাশ্ববাহী সূর্য প্রধান দেবতা এবং অন্যান্য দেবতা তারই রূপানত্মর। প্রাচীন হিন্দু জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, পৃথিবী সূর্যের প্রদৰিণের সূত্রই রথযাত্রা এবং এই রথযাত্রাই নববর্ষের ইঙ্গিত বহন করে।
আচার্য রামেন্দ্র সুন্দর ত্রিবেদীর মতে, “দিবাকরের রথচক্র মহাকালের পদাঙ্ক অনুসরণ করিতেছে। উত্তর হইতে দৰিণে, দৰিণ হইতে উত্তরে তাহার রথচক্র প্রবর্তিত হইয়া মাসের পর মাস, বৎসরের পর বৎসর, মহাকাল দেহে অঙ্কিত করিয়া চলিতেছে।’ অতএব রথযাত্রা সূর্যের উত্তরায়ণের পর দৰিণায়ণ, দৰিণায়ণের পর উত্তরায়ণ, যাত্রার পর পুনর্যাত্রা, জগন্নাথের রথযাত্রা হিন্দু ধর্মীয় সংস্কৃতির প্রাচীনতম সভ্যতার অবিমিশ্র বিভিন্নমুখী ধারারই সমন্বয়।
রথযাত্রা হিন্দুদের একটি ঐতিহ্যবাহী প্রাণের উৎসব। মিলনের এক মহামেলা। বর্ষাঋতুর আগমনের শুরুতেই এই উৎসব গ্রামে-গঞ্জে নগরে বিপুলভাবে সর্বজনীন রূপ নেয়। এ উৎসবকে কেন্দ্র করে বর্ষাবিধুর আবহাওয়ার মধ্যেও বহুস্থানে মেলা বসে। বিপুল জনসমাগম ঘটে।
সাধারণত, রথযাত্রা বলতে আমরা আষাঢ় মাসের শুক্লা দ্বিতীয়াতে অনুষ্ঠিত শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রাই বুঝি_ যদিও অন্য দেবতাদেরও রথযাত্রা আছে। জৈন ও বৌদ্ধদেরও এক সময় রথযাত্রা ছিল।
রথযাত্রার মূলে রয়েছে বৌদ্ধ ধর্ম ও সংস্কৃতির ব্যাপক প্রভাব। কালের পরিক্রমায় হিন্দু সভ্যতার উত্থানকালে এ রথযাত্রা ‘শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা’ হিসেবে বিবর্তিত হয়েছে। এ বিষয়ে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই।
শ্রী জগন্নাথ আসলে ভগবান বিষ্ণুরই অবতার। অনেকের মতে, শ্রী জগন্নাথের এই মূর্তিরূপ শ্রী ভগবানের অসম্পূর্ণ রূপেরই প্রতিচ্ছবি। কারও কারও মতে, এই অসমাপ্ত, অসম্পূর্ণ মূর্তি নিরাকার ব্রহ্মারই প্রতিরূপ। আবার কারও কারও মতে, এ ত্রিমূর্তি বৌদ্ধ ত্রি-রত্নের প্রতীক। ধর্মমঙ্গল সাহিত্যে শ্রী জগন্নাথ ত্রি-রত্নের প্রথম রত্ন হিসেবে আখ্যায়িত। পরে অবশ্য হিন্দু পুরাণাদিতে নবম অবতার হিসেবে স্থান করে নিয়েছেন। ওড়িশার লোকগীতিতে আমরা শ্রী জগন্নাথ ও বুদ্ধদেবকে অভিন্ন মূর্তিতে দেখতে পাই। এঁদের অবলম্বন করে অনেক লোককাহিনী প্রচলিত আছে।
এই রথ উৎসব পুরীর শ্রী জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রাকেন্দ্রিক উৎসব। শ্রী জগন্নাথ ও বিষ্ণু অভিন্ন। শুধু রূপভেদ মাত্র। ওড়িশার পুরীর জগন্নাথ ধামের রথযাত্রা জগদ্বিখ্যাত। পুরীর শ্রী জগন্নাথ সারা ভারতবর্ষেই পূজিত। জ্যৈষ্ঠে স্নান-যাত্রায় ও আষাঢ়ে রথের সময় বিশেষ জাঁকজমকের সঙ্গে পূজিত হন।
এই উৎসব আষাঢ়ের শুক্লা দ্বিতীয়াতে সম্পন্ন হয়। এদিন শ্রী জগন্নাথ ও বলরাম, স্নান সমাপন শেষে নূতন রথে আসীন হয়ে এক মাইল দূরে বৃৰলতাদি শোভিত উদাম গৃহে গমন করেন। এখানে সাতদিন অবস্থান শেষে আবার স্বস্থানে প্রত্যাগমন করেন। এটাই পুনর্যাত্রা বা উল্টোরথ। এ বছর আমাদের ১৯ আষাঢ়, ৩ জুলাই রথযাত্রা উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। আবার ২৭ আষাঢ়, ১১ জুলাই উল্টোরথ পালিত হবে।
চৈতন্য মহাপ্রভুই মূলত নীলাচলে ভক্তিবাদের প্রবর্তন করেছিলেন। তিনি ছিলেন শ্রীকৃষ্ণের অবতার। তাঁর প্রেম, ভক্তি ‘সবার উপরে মানুষ সত্য’_ এসব মূলমন্ত্রই তাঁর জীবন-দর্শন। জগন্নাথও তাই। মহাপ্রভুর জীবন-দর্শন শ্রী জগন্নাথের জীবন-দর্শন মিলেমিশে এক হয়ে গেছে। তাই তো পুরীকে বলা হয় বৈষ্ণবের ধাম। মহাপ্রভুর ভক্তিবাদ, সার্বজীবে সমদৃষ্টি পুরীধামে মহাপ্রভুকে এত জনপ্রিয় এত কাছের মানুষ হিসেবে পরিচিত করেছে।
এই ধাম রাধা-কৃষ্ণের রূপক মহিমা গীত হয়ে প্রসিদ্ধি লাভ করেছে। রাধা-কৃষ্ণকে অবলম্বন করে রচিত বৈষ্ণব কবিতা মূলত ভক্তিমূলক গীতি কবিতা। তবে শাশ্বত মানব-হৃদয়ের আকুল আর্তি, বিরহ, প্রেম সুন্দর রূপ লাভ করেছে। বৈষ্ণব কবিতায় হৃদয়ের ব্যাকুলতা, ভালবাসার যে আর্তি তা দেখে রবীন্দ্র কবি চিত্তে চিরনত্মন প্রশ্ন_
“সত্য করে কহো মোরে হে বৈষ্ণব কবি,
কোথা তুমি পেয়েছিলে এই প্রেমচ্ছবি
কোথা তুমি শিখেছিলে এই প্রেমগান
বিরহ-তাপিত। হেরি কাহার নয়ান
রাধিকার অশ্রম্ন-অাঁখি পড়েছিল মনে?”
বৈষ্ণব কবিতা আমাদের সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছে। চৈতন্য দেবের শুভ-আর্বিভাব না হলে হয়ত বৈষ্ণব পদাবলীর এই ঐশ্বর্য থেকে আমরা বঞ্চিত হতাম। রাধাকৃষ্ণের প্রণয় লীলা শুধুই রোমান্টিসিজম নয়। গৌড়ীয় বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের সাধনা, তত্ত্ব এতে মূর্ত হয়ে উঠেছে। বৈষ্ণব কবিতা বাংলার নিজস্ব সম্পদ। ভাব, ভাষা ও ব্যঞ্জনায় অপূর্ব সৃষ্টি।
বাংলাদেশের অনেক স্থানের নাম ‘রথখোলা’ ও ‘রথবিহার’ নামে পরিচিত এবং এসব স্থান ও মন্দিরে আখড়ায় রথ-উৎসব পালন করা হয়। ঢাকা জেলার ধামরাই গ্রামে যশোমাধবের সুবিখ্যাত রথযাত্রা উপলৰে বিরাট মেলার সমাবেশ হয়।
কুমিলস্না শহরের জগন্নাথ বাড়ির রথযাত্রা বিখ্যাত। অতি শৈশবে সেখানে রথের মেলা ও উৎসবের ঘনঘটা দেখেছি। শ্রী চৈতন্য দেব ব্যাপকভাবে রথযাত্রা উৎসবের প্রচলন করেছিলেন। শ্রী প্রভুপাদ বিশ্বব্যাপী বিশেষ করে সুদূর ইউরোপ ও আমেরিকায় এর প্রচলন করেন।
ঢাকায় নারিন্দায় ইসকনের রথের উৎসব ও শোভাযাত্রা মিছিল, তাঁতী বাজারে শ্রী জগন্নাথ জিউ মন্দিরের উৎসব ও মেলা সবিশেষ উলেস্নখযোগ্য। তাছাড়া সিলেট, যশোর, পাবনা, ফরিদপুর, চট্টগ্রাম প্রভৃতি স্থানে এ উপলৰে মেলা ও উৎসরের আয়োজন করা হয়ে থাকে।
রথযাত্রা আমাদের এক প্রাণের উৎসব। মিলনের এক মহামেলা। এই মেলা বাঙালীর ঐতিহ্য। সে কারণে ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে এই রথ-উৎসবে সবাই যোগদান করে থাকে।
গ্রিক, মিসরীয় ও ভারতীয় সভ্যতায় সপ্তাশ্ববাহী সূর্য প্রধান দেবতা এবং অন্যান্য দেবতা তারই রূপানত্মর। প্রাচীন হিন্দু জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, পৃথিবী সূর্যের প্রদৰিণের সূত্রই রথযাত্রা এবং এই রথযাত্রাই নববর্ষের ইঙ্গিত বহন করে।
আচার্য রামেন্দ্র সুন্দর ত্রিবেদীর মতে, “দিবাকরের রথচক্র মহাকালের পদাঙ্ক অনুসরণ করিতেছে। উত্তর হইতে দৰিণে, দৰিণ হইতে উত্তরে তাহার রথচক্র প্রবর্তিত হইয়া মাসের পর মাস, বৎসরের পর বৎসর, মহাকাল দেহে অঙ্কিত করিয়া চলিতেছে।’ অতএব রথযাত্রা সূর্যের উত্তরায়ণের পর দৰিণায়ণ, দৰিণায়ণের পর উত্তরায়ণ, যাত্রার পর পুনর্যাত্রা, জগন্নাথের রথযাত্রা হিন্দু ধর্মীয় সংস্কৃতির প্রাচীনতম সভ্যতার অবিমিশ্র বিভিন্নমুখী ধারারই সমন্বয়।
রথযাত্রা হিন্দুদের একটি ঐতিহ্যবাহী প্রাণের উৎসব। মিলনের এক মহামেলা। বর্ষাঋতুর আগমনের শুরুতেই এই উৎসব গ্রামে-গঞ্জে নগরে বিপুলভাবে সর্বজনীন রূপ নেয়। এ উৎসবকে কেন্দ্র করে বর্ষাবিধুর আবহাওয়ার মধ্যেও বহুস্থানে মেলা বসে। বিপুল জনসমাগম ঘটে।
সাধারণত, রথযাত্রা বলতে আমরা আষাঢ় মাসের শুক্লা দ্বিতীয়াতে অনুষ্ঠিত শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রাই বুঝি_ যদিও অন্য দেবতাদেরও রথযাত্রা আছে। জৈন ও বৌদ্ধদেরও এক সময় রথযাত্রা ছিল।
রথযাত্রার মূলে রয়েছে বৌদ্ধ ধর্ম ও সংস্কৃতির ব্যাপক প্রভাব। কালের পরিক্রমায় হিন্দু সভ্যতার উত্থানকালে এ রথযাত্রা ‘শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা’ হিসেবে বিবর্তিত হয়েছে। এ বিষয়ে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই।
শ্রী জগন্নাথ আসলে ভগবান বিষ্ণুরই অবতার। অনেকের মতে, শ্রী জগন্নাথের এই মূর্তিরূপ শ্রী ভগবানের অসম্পূর্ণ রূপেরই প্রতিচ্ছবি। কারও কারও মতে, এই অসমাপ্ত, অসম্পূর্ণ মূর্তি নিরাকার ব্রহ্মারই প্রতিরূপ। আবার কারও কারও মতে, এ ত্রিমূর্তি বৌদ্ধ ত্রি-রত্নের প্রতীক। ধর্মমঙ্গল সাহিত্যে শ্রী জগন্নাথ ত্রি-রত্নের প্রথম রত্ন হিসেবে আখ্যায়িত। পরে অবশ্য হিন্দু পুরাণাদিতে নবম অবতার হিসেবে স্থান করে নিয়েছেন। ওড়িশার লোকগীতিতে আমরা শ্রী জগন্নাথ ও বুদ্ধদেবকে অভিন্ন মূর্তিতে দেখতে পাই। এঁদের অবলম্বন করে অনেক লোককাহিনী প্রচলিত আছে।
এই রথ উৎসব পুরীর শ্রী জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রাকেন্দ্রিক উৎসব। শ্রী জগন্নাথ ও বিষ্ণু অভিন্ন। শুধু রূপভেদ মাত্র। ওড়িশার পুরীর জগন্নাথ ধামের রথযাত্রা জগদ্বিখ্যাত। পুরীর শ্রী জগন্নাথ সারা ভারতবর্ষেই পূজিত। জ্যৈষ্ঠে স্নান-যাত্রায় ও আষাঢ়ে রথের সময় বিশেষ জাঁকজমকের সঙ্গে পূজিত হন।
এই উৎসব আষাঢ়ের শুক্লা দ্বিতীয়াতে সম্পন্ন হয়। এদিন শ্রী জগন্নাথ ও বলরাম, স্নান সমাপন শেষে নূতন রথে আসীন হয়ে এক মাইল দূরে বৃৰলতাদি শোভিত উদাম গৃহে গমন করেন। এখানে সাতদিন অবস্থান শেষে আবার স্বস্থানে প্রত্যাগমন করেন। এটাই পুনর্যাত্রা বা উল্টোরথ। এ বছর আমাদের ১৯ আষাঢ়, ৩ জুলাই রথযাত্রা উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। আবার ২৭ আষাঢ়, ১১ জুলাই উল্টোরথ পালিত হবে।
চৈতন্য মহাপ্রভুই মূলত নীলাচলে ভক্তিবাদের প্রবর্তন করেছিলেন। তিনি ছিলেন শ্রীকৃষ্ণের অবতার। তাঁর প্রেম, ভক্তি ‘সবার উপরে মানুষ সত্য’_ এসব মূলমন্ত্রই তাঁর জীবন-দর্শন। জগন্নাথও তাই। মহাপ্রভুর জীবন-দর্শন শ্রী জগন্নাথের জীবন-দর্শন মিলেমিশে এক হয়ে গেছে। তাই তো পুরীকে বলা হয় বৈষ্ণবের ধাম। মহাপ্রভুর ভক্তিবাদ, সার্বজীবে সমদৃষ্টি পুরীধামে মহাপ্রভুকে এত জনপ্রিয় এত কাছের মানুষ হিসেবে পরিচিত করেছে।
এই ধাম রাধা-কৃষ্ণের রূপক মহিমা গীত হয়ে প্রসিদ্ধি লাভ করেছে। রাধা-কৃষ্ণকে অবলম্বন করে রচিত বৈষ্ণব কবিতা মূলত ভক্তিমূলক গীতি কবিতা। তবে শাশ্বত মানব-হৃদয়ের আকুল আর্তি, বিরহ, প্রেম সুন্দর রূপ লাভ করেছে। বৈষ্ণব কবিতায় হৃদয়ের ব্যাকুলতা, ভালবাসার যে আর্তি তা দেখে রবীন্দ্র কবি চিত্তে চিরনত্মন প্রশ্ন_
“সত্য করে কহো মোরে হে বৈষ্ণব কবি,
কোথা তুমি পেয়েছিলে এই প্রেমচ্ছবি
কোথা তুমি শিখেছিলে এই প্রেমগান
বিরহ-তাপিত। হেরি কাহার নয়ান
রাধিকার অশ্রম্ন-অাঁখি পড়েছিল মনে?”
বৈষ্ণব কবিতা আমাদের সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছে। চৈতন্য দেবের শুভ-আর্বিভাব না হলে হয়ত বৈষ্ণব পদাবলীর এই ঐশ্বর্য থেকে আমরা বঞ্চিত হতাম। রাধাকৃষ্ণের প্রণয় লীলা শুধুই রোমান্টিসিজম নয়। গৌড়ীয় বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের সাধনা, তত্ত্ব এতে মূর্ত হয়ে উঠেছে। বৈষ্ণব কবিতা বাংলার নিজস্ব সম্পদ। ভাব, ভাষা ও ব্যঞ্জনায় অপূর্ব সৃষ্টি।
বাংলাদেশের অনেক স্থানের নাম ‘রথখোলা’ ও ‘রথবিহার’ নামে পরিচিত এবং এসব স্থান ও মন্দিরে আখড়ায় রথ-উৎসব পালন করা হয়। ঢাকা জেলার ধামরাই গ্রামে যশোমাধবের সুবিখ্যাত রথযাত্রা উপলৰে বিরাট মেলার সমাবেশ হয়।
কুমিলস্না শহরের জগন্নাথ বাড়ির রথযাত্রা বিখ্যাত। অতি শৈশবে সেখানে রথের মেলা ও উৎসবের ঘনঘটা দেখেছি। শ্রী চৈতন্য দেব ব্যাপকভাবে রথযাত্রা উৎসবের প্রচলন করেছিলেন। শ্রী প্রভুপাদ বিশ্বব্যাপী বিশেষ করে সুদূর ইউরোপ ও আমেরিকায় এর প্রচলন করেন।
ঢাকায় নারিন্দায় ইসকনের রথের উৎসব ও শোভাযাত্রা মিছিল, তাঁতী বাজারে শ্রী জগন্নাথ জিউ মন্দিরের উৎসব ও মেলা সবিশেষ উলেস্নখযোগ্য। তাছাড়া সিলেট, যশোর, পাবনা, ফরিদপুর, চট্টগ্রাম প্রভৃতি স্থানে এ উপলৰে মেলা ও উৎসরের আয়োজন করা হয়ে থাকে।
রথযাত্রা আমাদের এক প্রাণের উৎসব। মিলনের এক মহামেলা। এই মেলা বাঙালীর ঐতিহ্য। সে কারণে ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে এই রথ-উৎসবে সবাই যোগদান করে থাকে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন