বুধবার, ১ জুলাই, ২০১৫

শ্রীশ্রীগীতা মাহাত্মম / সনাতন ধর্মে তিলকের ( Tilaka ) তাৎপর্য

শ্রীশ্রীগীতা মাহাত্মম
অষ্টাদশ অধ্যায়ঃ মোক্ষযোগ

অর্জুন ।
সঙ্গম্ ত্যাক্তা ফল চ এব সঃ ত্যাগৈঃ
সাত্ত্বিক মতঃ ।।৯
অর্থ-হে অর্জুন যিনি কর্তব্য বোধে নিত্ত
কর্ম অনুষ্ঠান করেন এবং সেই কর্মের
আশক্তি ও ফল পরিত্যাগ করেন, তার ত্যাগ
সাত্ত্বিক।
ন দ্বেষ্টি অকুশলম্ কর্ম কুশলেন অনুষজ্জতে

ত্যাগী সত্ত্ব সমাবিষ্টঃ মেধাবী ছিন্ন
সংশয় ।।১০
অর্থ-যারা সত্ত্বগুনে অবস্থিত যারা অশুভ
কর্মে বিদ্দেশ করেন না এবং শুভ কর্মে
অনাশক্ত হয় না সেই প্রকার মেধাবী
ব্যাক্তির কর্ম সম্বন্ধে কোন সংশয় নাই।
ন হি দেহভূতা শক্যম্ ত্যক্তুম্ কর্মানি
অশেষতঃ ।
যঃ তু কর্ম ফল ত্যাগী সঃ ত্যাগী ইতি
অভিধিয়তে ।।১১
অর্থ-দেহধারী জীবের সমস্ত কর্ম
পরিত্যাগ করা সম্ভব নয়, তাই যিনি সমস্ত
কর্মের ফল পরিত্যাগ করেন তিনিই
বাস্তবিক ত্যাগী।
অনিষ্টম ইষ্টম মিশ্রম্ চ ত্রিবিধম্ কর্মনঃ
ফলম্ ।
ভবতী অত্যাগীনাম্ প্রেত্য ন তু সন্নাসি
নাম্ কচিত্ ।১২
অর্থ-যারা কর্মফল ত্যাগ করেনি তাদের
অনিষ্ট ইষ্ট ও মিশ্র এই তিন প্রকার কর্ম ফল
ভোগ হয়। কিন্তু সন্নাসিদের উক্ত
ত্রিবিধ ফল ভোগ করতে হয় না।
____________
শ্রীশ্রীগীতা মাহাত্মম
____________
সর্ব্বত্র প্রতিভূক্তা চ প্রতিগৃহ্য চ সব্বশঃ ।
গীতাপাঠং প্রকুর্ব্বণো ন লিপ্যতে কদাচন
।৩৬।
রত্নপুর্ণাং মহীং সর্ব্বাং
প্রতিগৃহ্যবিধানতঃ ।
গীতাপাঠেন চৈকেন শুদ্ধস্ফটিকবত্ সদা ।
৩৭।
যস্যান্তঃকরণং নিত্যং গীতায়াং রমতে
সদা ।
য সাগ্নিকঃ সদা জাপী ক্রিয়াবান স চ
পন্ডিতঃ ।৩৮।
দর্শনীয় স ধনবান স যোগী জ্ঞানবানপি ।
স এব যাজ্ঞিকো যাজী সর্ব্ববেদার্থদর
্শকঃ ।৩৯।
অনুবাদ=সকল স্থানে ভোজনকারী এবং
সর্ব্বত্র দান গ্রহনকারী সেই ব্যাক্তি
নিত্যগীতা পাঠ করিলে কোন পাপে
লিপ্ত হন না।৩৬
অনুবাদ=তিনি যদি অবিধি-সহিত রত্নপুর্ন
পৃথিবীকে গ্রহন করিয়াও একবার শুধু গীতা
পাঠ করেন, তবে তিনি স্ফটিকের ন্যায়
স্থিতিলাভ করেন।৩৭
অনুবাদ=যাহার অন্তকরণ সর্ব্বদই গীতাতে
অনুরক্ত থাকে, তিনি সাত্ত্বিক উপকারী
ক্রিয়াবান, এবং পন্ডিত।৩৮
অনুবাদ=তিনি দর্শনিয়,ধনবান,য
োগী,জ্ঞানবান,যাজ্ঞিক,যাজক এবং সকল
বেদের অর্থ বোঝেন।


""জীবাত্মার পরিবর্তন হয় কর্ম পরিবর্তনের দ্বারা
পরমাত্মার কোন পরিবর্তন হয় না পুনঃপুন দেহ ধারন
এবং কর্মের উন্নতির দ্বারা জীবাত্মার আত্মিক উন্মতি
ও পরিবর্তেনর মাধ্যমে একদিন সে পরমাত্মার
সাথে মিলিত হবে . এরপরে আর তাকে পুনজর্ম্ম
গ্রহণ করতে হবে না""""

 সনাতন ধর্মে তিলকের ( Tilaka ) তাৎপর্য
পূজারীরা কপালে তিলক অংকন করে
থাকেন যা তৃতীয় নয়ন বা চোখ বা মনের
চক্ষু হিসেবে বিবেচনা করা হয় । তিলক
পবিত্রতা , পরিচ্ছন্নতা , গভীর শ্রদ্ধা ও
ভক্তির প্রতীক ।
সনাতন শাস্ত্রমতে কপালে অংকিত
তিলক ঈশ্বরের বিভিন্ন অবতারের উপর
ভিত্তি করে বিভিন্ন আকৃতির হতে
পারে । ইউ ( U ) আকৃতির তিলক ভগবান
বিষ্ঞুর পূজারী হিসেবে পরিচিত , আবার
আনুভূমিক ( Horizontal ) তিলক ভগবান
শিবের পূজারী হিসেবে পরিচিত ।



একজন হিন্দুর দৈনিক ধর্মীয় কার্যাবলী
সূর্য প্রণাম মন্ত্র/ ওঁ শ্রী সূর্যায় নম:
৩. স্নান করার সময় বলুন-
ওঁ গঙ্গে চ যমুনে চৈব গোদাবরি সরস্বতী
নর্মদে সিন্ধু কাবেরি জলেহস্মিন সন্নিধিং কুরু
পরে কৃতাঞ্জলি হয়ে-
ওঁ কুরুক্ষেত্র গয় গঙ্গা প্রভাস পুষ্করিণী চ।
তীর্থান্যেতানি পুণ্যানি স্নানকালে ভবন্ত্বিহ।
৪. গৃহ প্রবেশ মন্ত্র- ওঁ শ্রী বাস্তুপুরুষায় নম:
৫. খাবার আগে- ওঁ শ্রী জনার্দ্দনায় নম:
৬. ঘুমাবার আগে- ওঁ শ্রী পদ্মনাভায় নম:
৭. বিপদে- ওঁ শ্রী মধুসূদনায় নম:
৮.মলমূত্র ত্যাগের আগে- আজ্ঞা কুরু বসুন্ধরা
৯. মৃত্যু সংবাদ শুনলে- দিব্যান্ লোকান্ স গচ্ছতু
১০. জন্ম সংবাদ শুনলে- আয়ুষ্মান ভব
হিন্দু ধর্মীয় সকল কাজ শুরুর আগে ''ওঁ তৎ সৎ'' দিয়ে
শুরু করা উচিত।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন